অ্যারন বেক পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আমেরিকান সাইকিয়াট্রিস্ট এবং এমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি কগনিটিভ থেরাপির জনক হিসাবে বিবেচিত হন। বছরের পর বছর ধরে, তিনি বেশ কয়েকটি উদ্ভাবনী তত্ত্ব তৈরি করেছেন যা ক্লিনিকাল হতাশা এবং উদ্বেগজনিত অসুস্থতার চিকিত্সায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বেক বর্তমানে জ্ঞানীয় আচরণের জন্য থেরাপির নিজস্ব ইনস্টিটিউটের অনারারি প্রেসিডেন্ট।
প্রাথমিক জীবনী
অ্যারন বেক 18 জুলাই, 1921 রোড আইল্যান্ডের প্রোভিডেন্সে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইহুদি অভিবাসীদের পরিবারে চার ভাই ও বোনের মধ্যে কনিষ্ঠ ছিলেন যিনি 1900 এর দশকের গোড়ার দিকে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে এসেছিলেন। স্কুলে পড়াশোনা চলাকালীন বেক মানবিকতায় আগ্রহী ছিলেন। ছেলেটির বেশিরভাগই মনোবিজ্ঞানে মুগ্ধ হয়েছিল। স্থানীয় গ্রন্থাগারে তিনি মানসিকতা এবং আচরণের বিকাশ সম্পর্কিত প্রায় সমস্ত বই পড়েছিলেন।
পরে হারুন আমেরিকান ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে প্রবেশ করেন। 1942 সালে, তিনি অনার্স সহ স্নাতক হন এবং প্রাচীনতম প্রাক্তন ছাত্র সমাজ ফি বিটা কাপ্পার সদস্য নির্বাচিত হন। স্নাতক শেষ হওয়ার পরপরই বেক সাংবাদিকতায় হাত দেওয়ার চেষ্টা করলেন। দ্য ব্রাউন ডেইলি হেরাল্ডের ফ্রিল্যান্স এডিটর হিসাবে তিনি চাকরি পেয়েছিলেন। 1945 সালে, এই যুবক তার দুর্দান্ত বক্তৃতা দক্ষতার জন্য উইলিয়াম গ্যাস্টন পুরস্কার পেয়েছিলেন।
বেক ইলে স্কুল অফ মেডিসিনে অধ্যয়নের সাথে তার প্রকাশনা দায়িত্বগুলি বেশ সফলভাবে একত্রিত করেছিলেন। দৃv় বিশ্বাস যে ব্যক্তিত্বের মনোবিজ্ঞান শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যের সাথে নিবিড়ভাবে যুক্ত, তিনি প্রতিদিন মানুষের শরীরের গঠন অধ্যয়ন করেন। 1946 সালে, হারুন চিকিত্সা বিষয়ে তার দ্বিতীয় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন এবং ব্যবহারিক গবেষণায় মনোনিবেশ করেছিলেন।
1946-1950 সালে, বেক ম্যাসাচুসেটস এ অবস্থিত বেসরকারী মনোরোগ হাসপাতাল ওস্টিং রিগসে চিকিত্সা করিয়েছিলেন। এখানে তিনি সর্বশেষ নিউরোপিসিয়াট্রি সরঞ্জাম দ্বারা রোগীদের চিকিত্সা করেছেন। ১৯৫২ সালে, অ্যারন মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীতে মেডিকেল সহকারী হিসাবে চাকরি পেয়েছিলেন, তবে এক বছর পরে তিনি বিজ্ঞানে পুনরায় যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
1954 সালে, বেক পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রি বিভাগে প্রবেশ করেন entered প্রশিক্ষণ চলাকালীন, তিনি বিভাগের চেয়ারম্যান কেনেথ আপেলের সাথে দেখা করেছিলেন, যিনি হারুনের পুরো ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিলেন। প্রভাবশালী মনোবিজ্ঞানী হওয়ার কারণে, শিক্ষক তার ছাত্রকে মূল পেশাদার দিক নির্ধারণে সহায়তা করেছিলেন। এই সময়েই বেক শেষ পর্যন্ত বুঝতে পেরেছিল যে তাঁর জীবনটি মনোবিশ্লেষণের সাথে সংযুক্ত করা উচিত।
পেশাদার ক্যারিয়ার
অ্যারন তার প্রথম সহকারী লিওন শৌলের সাথে 1959 সালে প্রথম বড় অধ্যয়ন পরিচালনা করেছিলেন। তারা একটি নতুন তালিকা তৈরি করেছিলেন যা তারা ব্যক্তির "মস্কোস্টিক" বৈরিতা মূল্যায়ন করতে ব্যবহার করেছিলেন। পরবর্তীকালে শীর্ষস্থানীয় মেডিকেল জার্নালে তাদের কাজের ফলাফলগুলি প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে, বেক ইতিমধ্যে একা তাঁর পর্যবেক্ষণগুলি চালিয়ে যান। মনোচিকিত্সা হাসপাতালের রোগীদের সাথে কথা বলে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে হতাশার ঝুঁকির মধ্যে থাকা লোকেরা প্রায়শই সমাজের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উত্সাহ এবং স্বাচ্ছন্দ্যের সন্ধান করেন। 1962 সালে, বিজ্ঞানী একটি নতুন রচনা লিখেছিলেন যাতে তিনি কীভাবে হতাশাব্যঞ্জক ব্যাধিগুলি সঠিকভাবে চিকিত্সা করতে পারেন সে সম্পর্কে ব্যক্তিগত সুপারিশ সংগ্রহ করেছিলেন।
এছাড়াও, হতাশায় আক্রান্ত রোগীদের সাথে কাজ করে বেক আবিষ্কার করেছিলেন যে তারা তাদের মনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্ভূত নেতিবাচক চিন্তার প্রবাহ অনুভব করেছে। তিনি এই ঘটনাকে "স্বয়ংক্রিয় চিন্তাভাবনা" বলেছেন called পরবর্তীকালে মনোচিকিত্সক আবিষ্কার করেছিলেন যে এই জাতীয় চিন্তাভাবনাগুলি তিনটি প্রধান বিভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে: নিজের সম্পর্কে, বিশ্ব সম্পর্কে এবং ভবিষ্যতের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা। হারুন বলেছিলেন যে এ জাতীয় জ্ঞান এক ধরণের জ্ঞানীয় ত্রিয়ার মতো পরস্পর সংযুক্ত। এবং যেহেতু হতাশাগ্রস্থ ব্যক্তিরা "স্বয়ংক্রিয় চিন্তাগুলি" বিশ্লেষণে অনেক সময় ব্যয় করে, তাই তারা এগুলি আসল ঘটনা হিসাবে বিবেচনা করতে শুরু করে।
বিজ্ঞানীর সিদ্ধান্তগুলি মানসিক চিকিত্সাগুলির কয়েক ডজন রোগীকে মারাত্মক হতাশার হাত থেকে বাঁচাতে সহায়তা করেছিল। তিনি তাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদীয়মান চিন্তাগুলি সনাক্ত এবং মূল্যায়নে সহায়তা করেছিলেন। ফলস্বরূপ, লোকেরা আরও ভাল বোধ করতে শুরু করে। বেক অনুশীলনে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে বিকৃত চিন্তাভাবনা থেকেই বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের ব্যাধি দেখা দেয়। তাত্ত্বিক ম্যানুয়ালগুলির লেখক তবুও বিশ্বাস করেছিলেন যে জীবনের নেতিবাচকতা মোকাবেলা করা যেতে পারে। প্রধান জিনিস হ'ল প্রতিদিন চিন্তাভাবনা সম্পর্কিত সমস্ত প্রক্রিয়াগুলি সাবধানে বিশ্লেষণ করা এবং সেগুলি কাগজে লিখে রাখুন।
তবে, উপরোক্ত পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে অ্যারন কেবলমাত্র হতাশাগুলি নয়, দ্বিপথবিহীন ব্যাধি, ওষুধের নির্ভরতা, সিজোফ্রেনিয়া, আগ্রাসন এবং অবসন্নতা সিন্ড্রোমগুলিও পরিচালনা করতে পেরেছিলেন। তিনি সীমান্তের ব্যক্তিত্বের ব্যাধিযুক্ত বহু রোগীকে বাঁচিয়েছেন যারা বারবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
1992 সালে, টেক টেম্পল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকের সম্মানসূচক উপাধি পেয়েছিলেন। তিনি এখনও নিয়মিত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অংশ নেন, তরুণ বিশেষজ্ঞদের জন্য সিম্পোজিয়া রাখেন, এবং এখনও মনোরোগ সংগঠনের সাথেও কাজ করেন।
