গামজাত তাসাদাসা একজন দাগেস্তানের আরববাদী, কবি ও চিন্তাবিদ। সাহিত্যকর্মের পাশাপাশি গামজাত তাসাদাসা পর্বত প্রজাতন্ত্রের জনজীবনে এক বিরাট অংশ গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সেবার জন্য তিনি স্ট্যালিন পুরস্কারের বিজয়ী হয়েছিলেন এবং দাগেস্তান স্বায়ত্তশাসিত সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের পিপলস কবি খেতাব অর্জন করেছিলেন।
দাগেস্তানের পাহাড়ে উঁচু হানজান অঞ্চল, যেখানে তাসাদের আউলে দুটি মহান ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছিলেন - পিতা এবং পুত্র। গামজাত সাদাস এবং রসুল গামাজাতভ।
রাশিয়ান ভাষায় অনুবাদ, "tsadasa" এর অর্থ "জ্বলন্ত" ery
আউলে তারা সাবধানে তাদের দেশবাসীর স্মৃতি সংরক্ষণ করে। এখানে পাথর সাকলায় তাসাদাসের স্মৃতিতে একটি সংগ্রহশালা তৈরি করা হয়েছিল, যা গামজাত তাসাদাসা এবং তাঁর প্রিয় স্ত্রী হ্যান্ডুলাই নির্মাণ করেছিলেন।
জীবনী
গামজাত সাদাসের জন্ম 9 আগস্ট 1877।
ছেলেটি ছোট থেকেই এতিম ছিল। বাবা-মা মারা গেলেন, একজন সম্মানিত ব্যক্তি তার অভিভাবক হয়ে গেলেন, যিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে ছেলেটি মসজিদে স্কুলে ভাল থাকবে। এই স্কুলটি জিনিচুটল গ্রামে ছিল। প্রতিটি দাগেস্তানের জন্য এই জায়গাটি এমন একটি কেন্দ্র ছিল যেখানে সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় traditionsতিহ্য এবং জ্ঞান রাখা হয়। বিদ্যালয়ের পাঠাগারটিতে প্রাচীন মধ্যযুগীয় বই, পান্ডুলিপি এবং কোরানের অনন্য সংস্করণ - মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ ছিল।
দিবির আলীর মতো আরব পন্ডিতরা এখানে কাজ করতেন। তিনি তাঁর আধ্যাত্মিক কৃতিত্বের জন্য পরিচিত ছিলেন। দিবির আলী 750 বার কুরআন পুনরায় লিখতে সক্ষম হন।
পড়াশোনা এবং কাজ
গামজাত তাসাদাসার জীবনের সময়গুলি দাগেস্তানে আলোকিতকরণ একটি উচ্চ স্তরে ছিল। এখানে 40৪০ টিরও বেশি মসজিদ বিদ্যালয় কাজ করেছে, যেখানে,, ৫০০ শিশু শিক্ষিত ছিল। সকলেই উপযুক্ত জ্ঞান অর্জন করেছিলেন, আরবী ভাষায় সাবলীল ছিলেন, ক্যাডিয়াস, মোল্লা এবং পবিত্র গ্রন্থের পাঠক হয়েছিলেন।
গামজাত সাদাস খুব প্রতিভাশালী ছিল এবং তার কাজ শুরু করেছিল তাড়াতাড়ি। তিনি এক স্কুল পড়ুয়ায় উচ্ছল পদ এবং কল্পকাহিনী রচনা করেছিলেন।
তিনি ইতিহাস, ভূগোল, দর্শন এবং আইনশাস্ত্রের মতো বিজ্ঞান অধ্যয়নের জন্য একটি কোর্স গ্রহণ করেছিলেন। সাহিত্যের বই পড়ে এই যুবক ইউরোপীয় সাহিত্যের সাথে পরিচিত হন। তিনি শাস্ত্রীয় প্রাচ্য কবিতায় এবং ভোল্টায়ার, গিথে, হুগোতেও সমান আগ্রহী ছিলেন। বিশ বছরের প্রশিক্ষণের জন্য, গামজাত তাসাদাসা একটি দুর্দান্ত গ্রন্থাগার জমায়েত করেছে। তাঁর স্মৃতির বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে, গামজাত অনন্য জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন - তিনি হৃদয় দিয়ে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেছিলেন। তরুণ বিজ্ঞানী আরবদের মধ্যে যথাযথ প্রাপ্য স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
স্নাতক শেষে গামজাত মোল্লায় পরিণত হয়। তাঁর তত্ত্বাবধানে হুনজাখ মালভূমির গ্রামগুলির বাসিন্দা ছিলেন। ককেশীয় যুদ্ধের ইতিহাসের অধ্যয়নের জন্য যখন তাকে গভীরভাবে নিমগ্ন হওয়ার দরকার হয়েছিল, তখন বিজ্ঞানী গিমরিতে ক্যাডমিয়াম (বিচারক) হিসাবে কাজ করতে যান। গাজাত আলিম রজব হাজীর মতো ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়নকারী তাঁর সমসাময়িকদের সাথে ধর্মীয় বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন।
