লেডি অ্যাডা লাভলেস XIX শতাব্দীর অন্যতম রহস্যময় ব্যক্তিত্ব। অসাধারণ এক মহিলা এবং গণিতে অসাধারণ দক্ষতা সম্পন্ন তার জীবনকালে, রহস্যময় ক্ষমতাগুলি তাকে দায়ী করা হয়েছিল এবং অশুভ আত্মার সাথে যোগাযোগ করার সন্দেহ ছিল। আধুনিক বিশ্বে লেডি লাভলেসকে প্রথম প্রোগ্রামার বলা হয়।
অগাস্টা অ্যাডা বায়রনের জন্ম 10 ডিসেম্বর 1815 যুক্তরাজ্যের লন্ডনে। তিনি ছিলেন কবি জর্জ বায়রনের একমাত্র বৈধ সন্তান। বাবা জন্মের পরে মাসে একবার মেয়েটিকে দেখেছিলেন। 1816 এপ্রিলে, লর্ড বায়ারন আনুষ্ঠানিকভাবে তার স্ত্রী আনা ইসাবেলাকে তালাক দিয়েছিলেন এবং ইংল্যান্ডকে চিরতরে চলে যান।
অ্যাডা বায়রন একটি দুর্দান্ত শিক্ষা অর্জন করেছিলেন, যা সেই সময়ের জন্য আদর্শ ছিল। তবে কবিতাটি মেয়েটির পড়াশোনা থেকে সম্পূর্ণ বাদ ছিল। মেয়েটিকে তার পিতার প্রভাব ও কবিতার প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য এটি বিশেষত তার মায়ের জেদেই করা হয়েছিল।
আদার মা আন্না ইসাবেলা গণিত সম্পর্কে আগ্রহী ছিলেন, যা নিঃসন্দেহে মেয়েটিকে প্রভাবিত করেছিল। মিসেস বায়রন তার প্রাক্তন শিক্ষক এবং পরামর্শদাতা, স্কটিশ গণিতবিদ অগাস্টাস ডি মরগানকে তার মেয়েকে পড়ানোর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এই মুহুর্ত থেকেই গণিতের প্রতি আদার প্রেমের গঠন শুরু হয়।
17-এ, অ্যাডা বায়রন পৃথিবীতে ভ্রমণ শুরু করেছিলেন এবং দ্রুত শয়তান মন দিয়ে দেবদূত হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সমাজে এমন কোনও ভদ্রলোক ছিলেন না যারা তাঁর সাথে গণিত সম্পর্কে যথাযথ পর্যায়ে কথোপকথন করতে পেরেছিলেন। একই সময়ে, মিস বায়রন কেমব্রিজের অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজের সাথে এবং সেই সময়ের অন্যতম অসামান্য গণিতবিদের সাথে সাক্ষাত করেছিলেন।
বিজ্ঞানী আডাকে তাঁর আবিষ্কারের সাথে আগ্রহী করেছেন - বিশেষভাবে ডিজাইন করা প্রোগ্রামগুলিতে চালিত একটি কম্পিউটার। এই ধারণাটি একটি অল্প বয়সী মেয়েকে আগ্রহী। একই সময়ে, অ্যাডা বায়রন লর্ড উইলিয়াম কিংকে বিয়ে করেছিলেন, ভবিষ্যতের আর্ল অফ লাভলেস।
সমসাময়িকদের স্মৃতি অনুসারে, এই বিবাহটি প্রেমের বাইরে ছিল এবং খুব খুশি হয়েছিল। স্বামীদের তিন সন্তান ছিল। একই সময়ে, কাউন্টারেস লাভলেস কখনও গণিত এবং ব্যাবেজের ধারণার প্রতি তার আবেগকে ভুলে যায়নি এবং ছাড়েনি। লুইস মেনেব্রিয়ায় তাঁর মন্তব্যেই প্রথমে কম্পিউটারের প্রোটোটাইপের বিবরণ দেখা যায়।
এই জাতীয় মেশিনটি কাজ করার জন্য, একটি নির্দিষ্ট প্রোগ্রামের প্রয়োজন ছিল এবং কাউন্টারেস লাভলেস 1843 সালে একটি লিখতেন। তিনি তার প্রোগ্রামের ভিত্তি হিসাবে বের্নোল্লি নম্বর গণনা অ্যালগরিদম ব্যবহার করবেন। চার্লস ব্যাবেজকে লেখা তাঁর চিঠিতে তিনি লিখেছেন: "আমি শয়তান বা দেবদূত। আমি তোমার জন্য শয়তানের মতো কাজ করি, চার্লস ব্যাবেজ; আমি তোমাকে বার্নোল্লি সংখ্যার মধ্য দিয়ে দেখছি।"
এভাবে তৈরি হয়েছিল বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম। গণির ইতিহাসে লেডি অ্যাডা লাভলাসের নাম লিপিবদ্ধ ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে, তার সহায়তায় কম্পিউটারটি তৈরি করার সময় তার হাতে নেই। 1852 সালে কাউন্টারটি মারা যাওয়ার পরে মেশিনের প্রথম কার্যকরী সংস্করণগুলি সম্পন্ন হয়েছিল।
এই আশ্চর্যজনক মহিলার সম্মানে যিনি তার সময়ের চেয়ে এগিয়ে যেতে সক্ষম হন, 1975 সালে প্রথম প্রোগ্রামিং ভাষার একটি "আদা" নামকরণ করা হয়েছিল। আজকাল, কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা ছুটির দিন হিসাবে তারিখগুলি উদযাপন করেন: ১৯ জুলাই, যখন লেডি লাভলেস প্রথম প্রোগ্রামটি লিখেছিলেন এবং 10 ডিসেম্বর অ্যাডা বায়রনের জন্মদিন, কাউন্টার লভলেস।
