রোস্তভ ফুটবল ক্লাবের ইতিহাসের অন্যতম বিখ্যাত খেলোয়াড় হলেন স্ট্রাইকার দিমিত্রি কিরিচেনকো। এই দলটি ছাড়াও, তিনি রামেনস্কি থেকে মস্কো "সিএসকেএ" এবং "শনি" তে খেলতে সক্ষম হয়েছেন।
সকার প্লেয়ার জীবনী
দিমিত্রি সের্গেভিচ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১ 197 জানুয়ারী, ১৯7। স্ট্যাভ্রপল টেরিটরি নোভোলেকসান্দ্রভস্ক শহরে। শৈশব থেকেই ছেলেটি বল খেলতে শুরু করে। তিনি স্কুলে ভাল পড়াশোনা এবং ফুটবল প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পেরেছিলেন। অভিভাবকরা দিমিত্রিকে স্থানীয় যুব স্পোর্টস স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। 15 এ প্রথম সাফল্যের পরে, তিনি অলিম্পিক রিজার্ভের স্ট্যাভ্রপল কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন। এবং এটি তাকে অ্যাডাল্ট ফুটবলে প্রবেশের পথ দিয়েছিল।
17-এ, কিরিচেনকো মিনারাল্নে ভোডি থেকে একটি লোকোমোটিভ ফুটবলার হয়েছিলেন। তবে একটি ভাল ফলাফল অর্জন করতে প্রথমবার কাজ হয়নি। তিনি মাঠে ২৪ টি খেলা ব্যয় করেছিলেন এবং গোল করতে পারেননি। একই সাথে, দিমিত্রি সর্বদা স্ট্রাইকার হিসাবে খেলতেন।
এই ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পরে, কিরিচেনকো তার শহরে ফিরে এসে পুরো ইসরার স্থানীয় ইস্ক্রা দলের রিজার্ভে কাটিয়েছিলেন।
তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল তাগানরোগ টর্পেডোতে রূপান্তর। দুটি মরসুমে, এই তরুণ স্ট্রাইকার প্রায় 40 টি গোল করেছিলেন এবং বৃহত আঞ্চলিক দলগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।
সুতরাং, 1998 সালে, কিরিচেনকো রোস্টভ-অন-ডন থেকে রোস্টেলমাশে শেষ হয়েছিল। তিনি তত্ক্ষণাত কোচিং স্টাফ এবং স্থানীয় ভক্তদের পছন্দ করেছেন। দ্রুত এবং প্রযুক্তিবিদ প্লেয়ার কেবল গোলই করতে পারেনি, তবে সতীর্থদের প্রতি আস্থা জাগিয়ে তোলেন। রাস্টের চ্যাম্পিয়নশিপে "রোস্টেলম্যাশ" দিমিত্রি তিনটি মরসুমের জন্য 38 গোল সংগ্রহ করেছিলেন।
কিরিচেনকো মস্কোয় চলে গেলেন
এর পরে মস্কো সিএসকেএর আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এবং কিরিচেঙ্কো তাঁর পরিবারের সাথে রাজধানীটি জয় করতে গিয়েছিলেন। এই সময়ে, প্লেয়ারটি ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহিত ছিল এবং তার প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছিল।
সিএসকেএতে, দিমিত্রিও প্রথম ম্যাচ থেকে খেলতে পেরেছিলেন। তিনি তত্ক্ষণাত্ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষ স্কোরার হয়ে ওঠেন এবং ২০০৩ সালে ক্লাবটির সাথে মিলিত হয়ে সেনাবাহিনীর দলের সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্রথম স্বর্ণ জিতেছিলেন।
এটির পরে কোনও ফুটবল খেলোয়াড়ের খেলায় কিছুটা হ্রাস ঘটে। সিএসকেএতে, রচনাটি আপডেট হওয়া শুরু হয়েছিল এবং কিরিচেঙ্কোর পক্ষে নতুন দলে জায়গা হয়নি। 2005 সালে, তিনি এফসি মস্কোতে চলে আসেন। এবং আবার প্রথম মৌসুমে তিনি 14 গোল করতে এবং স্কোরার দৌড়ে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হন।
এফসি মস্কোতে প্রথম দুটি দুর্দান্ত বছর পরে, কিরিচেনকো মস্কোর নিকটবর্তী শনি ক্লাবে চলে আসেন। 25 আগস্ট, 2007-এ, মস্কো থেকে লোকোমোটেভের বিপক্ষে একটি খেলায়, কিরিচেনকো রাশিয়ার চ্যাম্পিয়নশিপে নিজের 100 তম গোলটি করেছিলেন। তাঁর আগে কেবল ওলেগ ভেরেন্তিনিকভ এবং দিমিত্রি লসকভই এমন রেকর্ড করতে পেরেছিলেন।
রামেনসকোয়েতে তিন বছর থাকার পরে, কিরিচেনকো ২০১১ সালে রোস্টভ-অন-ডনে ফিরে আসেন। এখন স্থানীয় ক্লাবটিকে "রোস্তভ" বলা হত। তবে দিমিত্রি মাঠে খেলার চেয়ে বেঞ্চে বেশি সময় ব্যয় করেছিলেন। তরুণ ফুটবল খেলোয়াড়দের জন্য তিনি এইরকম চাচা-পরামর্শদাতার ভূমিকা পালন করেছিলেন।
তাঁর ফুটবল জীবনীটির সর্বশেষ দলটি ছিল সারানস্কের "মোরডোভিয়া"। ক্লাবের হয়ে, তিনি কেবল 12 টি ম্যাচ খেলেছিলেন এবং 1 গোল করেছেন। এর পরে, কিরিচেনকো তাঁর ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
একই 2013 সালে, দিমিত্রি ট্রেনার উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছিলেন, যা তিনি কিছু সময়ের পরে সফলভাবে স্নাতক হন। এর পরে, প্রাক্তন এই ফুটবলারকে "রোস্তভ" এর কোচিং কর্মীদের কাছে ডাকা হয়েছিল, যেখানে তিনি 2018 পর্যন্ত বিভিন্ন পদে কাজ করেছেন। দিমিত্রি এই দলে দু'বার ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ ছিলেন। এমনকি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচগুলিতে তিনি দলকে আনুষ্ঠানিকভাবে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান কোচকে কুর্বান বারদিয়েভ বিবেচনা করা হত। এটা ঠিক যে সেই মুহুর্তে বারদিয়েভের উপযুক্ত কোচিং লাইসেন্স ছিল না।
2018 সালে, কিরিচেনকোকে স্থানীয় দলের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য উফায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রধান কোচের পদত্যাগের পরে, দিমিত্রিই এই জায়গাটি অভিনয় হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। যখন তিনি কেবল একটি নতুন দল তৈরি করছেন, প্রথম সাফল্যগুলি নিয়ে কথা বলা খুব তাড়াতাড়ি। 10 ডিসেম্বর, 2018 এ, কিরিচেনকো আনুষ্ঠানিকভাবে এফসি উফার প্রধান কোচ হয়েছেন। তারা আরও একটি মৌসুমের জন্য আরও বর্ধনের সম্ভাবনা নিয়ে তার সাথে দেড় বছর চুক্তি করে।
দিমিত্রি কিরিচেঙ্কো রাশিয়ান জাতীয় ফুটবল দলে মাত্র 12 ম্যাচ কাটিয়েছিলেন। তার ছোট বৃদ্ধি এবং প্রতিপক্ষের পেনাল্টি ক্ষেত্রে দ্বিতীয় তলায় লড়াইয়ের অক্ষমতার কারণে তাকে খুব কমই দলে ডাকা হয়েছিল। এবং তারপরে রাশিয়ান দলটি বেশ সোজাসাপ্টে খেলেছিল এবং তার জন্য একটি মাত্রিক স্ট্রাইকারের দরকার ছিল।
তবে জাতীয় দলের হয়ে কিরিচেঙ্কোর একটি লক্ষ্য চিরকালের জন্য ইউরোপীয় ফুটবলের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ ছিল। পর্তুগালের ইউরো 2004-এ, দিমিত্রি গ্রিসের সাথে একটি ম্যাচে এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গোলটি করেছিলেন। খেলাটির শুরু থেকে 67 সেকেন্ডে এটি ঘটেছিল। গ্রিসের সাথে ম্যাচটি কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারেনি, তবে রাশিয়ান দলটি চ্যাম্পিয়নশিপে একমাত্র দল হয়ে উঠল যা ভবিষ্যতের বিজয়ীদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিল।
