সমাজতন্ত্র এমন একটি আদর্শ যা স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্বকে মূল মূল্যবোধ হিসাবে স্বীকৃত। প্রবণতার প্রবক্তারা ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর ভিত্তি করে এমন একটি সমাজকে সামাজিক সাম্যের সমাজে রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন।
"সমাজতন্ত্র" শব্দটি প্রথমবারের জন্য পি। লেরক্স "" ব্যক্তিবাদ এবং সমাজতন্ত্র "রচনায় ব্যবহার করেছিলেন, যা 19 শতকের মধ্যভাগ বোঝায়। সমাজতন্ত্রকে স্রোতের সামগ্রিকতা হিসাবে বোঝা যায় যা স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং সমতা নীতিকে মূল হিসাবে রাখে। এর মধ্যে বিশেষত মার্কসবাদ-লেনিনবাদ, সংস্কারবাদ, সামাজিক গণতন্ত্র, সোভিয়েত এবং সমাজতন্ত্রের চীনা মডেল ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সমাজতন্ত্র কেবল আদর্শ নয়, একটি সামাজিক ব্যবস্থাও। এটা বিশ্বাস করা হয় যে তার পুঁজিবাদ প্রতিস্থাপন করা উচিত।
সমাজতন্ত্রের উত্স
সমাজতন্ত্রের প্রথম উত্স ছিল সমাজতান্ত্রিকদের কাজ। বিশেষত, টি। মোরা (কাজ "ইউটোপিয়া") এবং টি। ক্যাম্পেনেলা (কাজ "সূর্যের শহর")। তারা প্রভাবশালী ব্যবস্থাকে একটি সম্মিলিত সমাজে রূপান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে ছিলেন।
কেবল উনিশ শতকের প্রথমার্ধে চিন্তাবিদরা উপস্থিত হয়েছিল যারা পুঁজিবাদের সমালোচনা করেছিল এবং শ্রমিক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষা করেছিল। সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে ছিলেন এ। সেন্ট-সাইমন, এস ফুয়ারি এবং আর ওউয়েন। তারা সামাজিক পুনর্গঠন ধারণাটি প্রস্তাব করেছিলেন, যা জনসাধারণের মালিকানা এবং সামাজিক সাম্যের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। এই প্রবণতাটিকে ইউটোপিয়ান সমাজতন্ত্রও বলা হয়, কারণ তারা তার সমর্থকরা বিশ্বাস করেছিল যে এই ধরণের র্যাডিক্যাল রূপান্তর কেবলমাত্র শিক্ষা এবং লালনের মাধ্যমেই অর্জন করা যায়।
