ইয়ানিনা বোলেস্লাভোভনা ঝিমো একজন সোভিয়েত অভিনেত্রী, তিনি যুদ্ধোত্তর সময়ের চলচ্চিত্রগুলিতে তার ভূমিকার জন্য বিখ্যাত। তার ক্ষুদ্রতার কারণে, তিনি সর্বদা ট্র্যাভেস্টি অভিনেত্রী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন, মেয়ে এবং কিশোর ছেলেদের অভিনয় করেছিলেন। তার সেরা কাজগুলির মধ্যে একটি হ'ল 1947 সালে নির্মিত সিনড্রেলা ছবিতে তিনি প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন, যা তিনি 37 বছর বয়সে অভিনয় করেছিলেন।
জীবনী
আইওনিনা বিখ্যাত সার্কাস শিল্পীদের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বাবা ছিলেন মেরু, আর মা ছিলেন রাশিয়ান। তাদের মেয়ের জন্ম ১৯৯৯ সালের ২৯ শে মে এবং তিনি হাঁটা শিখার সাথে সাথে তিনি উত্সাহের সাথে পিতামাতার সমস্ত প্রশিক্ষণে অংশ নিতে শুরু করেছিলেন।
সেই সময়, ঝিমো পরিবার ভলকভিস্ক শহরে বাস করত, যা গ্রোডনো প্রদেশের রাশিয়ান সাম্রাজ্যের অংশ। এখন এটি বেলারুশের অংশ। তিন বছর বয়স থেকেই, মেয়েটি তার পিতামাতার সাথে অঙ্গনে পারফর্ম করতে শুরু করে, ব্যালে এবং অ্যাক্রোব্যাটিকসে অসাধারণ প্রতিভা দেখায় এবং শীঘ্রই এমনকি অন্যদেরও শিখিয়ে দেয়, বেতনভোগী ব্যালে পাঠদান করে।
1923 সালে, বোলেস্লাভ পরিবারের পিতা মারা যান, এবং তার স্ত্রী এবং শিশুদের সার্কাস ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল। বাবা ছিলেন যিনি পরিবারের সমস্ত কক্ষে প্রধান ছিলেন এবং তাঁর স্থান নেওয়ার কেউ ছিল না। উদ্যোগী মা তার দুই কন্যাকে নিয়ে পেট্রোগ্রাদে চলে এসেছিলেন এবং তাদের সাথে একটি সংগীত ট্রুপের আয়োজন করেছিলেন যা একটি দুর্দান্ত সাফল্য ছিল।
তারপরেও, আয়নানিনা বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি মঞ্চে অভিনয় করতে পছন্দ করেন তবে সিনেমার যাদুতে তিনি অনেক বেশি মুগ্ধ হয়েছিলেন। 1924 সালে, মেয়েটি একটি লেনিনগ্রাড ফিল্মের স্টুডিওতে নাম লেখাতে পরিচালিত হয়েছিল, যেখানে এই শিল্পের প্রবর্তক, কোজিন্টসেভ এবং ট্রুবার্গ শিখিয়েছিলেন। 15 বছর বয়সী ইয়ানিনা 12 বছর ধরে জনসাধারণের সামনে অভিনয় করছেন এমন প্রমাণ উপস্থাপন করে সবাইকে হতবাক করেছিলেন।
কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবন
জামার উচ্চতা ছিল মাত্র 148 সেন্টিমিটার। একটি সুন্দর মুখ, একটি ক্ষুদ্র শরীর - এই সব তার ভূমিকা নির্ধারণ করে, যা সর্বদা যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। প্রচুর প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেতা দৃinc়তার সাথে একটি বালক চরিত্রে অভিনয় করতে সক্ষম। ইতিমধ্যে 1925 সালে, তিনি চলচ্চিত্রের পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, "ইউদেনিচের বিরুদ্ধে বিয়ারস" সিনেমায় বিয়ার নামের একটি ছেলেকে অভিনয় করেছিলেন।
তারপরেই অভিনেত্রী তার প্রথম প্রেমের সাথে মিলিত হন - অভিনেতা কোস্ট্রিচিকিন। সেলিব্রিটিদের সাথে যথারীতি তাদের ব্যক্তিগত জীবন কাজ থেকে অবিচ্ছেদ্য। প্রেমীদের বিয়ে হয়েছিল এবং তাদের একটি কন্যা ছিল, যার নাম রাখা হয়েছিল তার মায়ের সম্মানে - ইয়ানিনা। তবে, সম্পর্কটি দ্রুতই বিবর্ণ হয় এবং 1932 সালে এই দম্পতি আফসোস না হয়ে ভেঙে যায়।
১৯২26 সালে, বিখ্যাত পরামর্শদাতাদের "ভাই" এর যৌথ ছবিতে আইওনিনা মূল ভূমিকায় অবতীর্ণ হন এবং ১৯২৯ সালে অবশেষে তিনি দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত এফকেএস ডিপ্লোমা পেয়েছিলেন এবং একটি উচ্চ-কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। তিনি ছিটকে পড়েছিলেন, তবে 1935 সালে "গার্লফ্রেন্ডস" নামক কাল্ট ফিল্মে অস্যা "বাটন" চরিত্রে অভিনয় করার পরে তিনি জোমো খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
তিনি চিঠিপত্র, প্রেমের ঘোষণা, ফুল এবং উপহারের দ্বারা ডুবে ছিলেন। এই ভূমিকা তাকে একটি রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার এনেছে - অর্ডার অফ ব্যাজ অফ অনার। এবং 1938 সালে, দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন এই অভিনেত্রী। এবার, জোসেফ খিফিটস তার নির্বাচিত হয়ে ওঠেন, যাকে তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন।
যুদ্ধ বছর
যুদ্ধের সময়, ঝিমো ইয়ানিনা বোলেস্লাভোনা পরিবার ছাড়াই অবরুদ্ধ লেনিনগ্রাদে এসে পৌঁছেছিলেন - তার স্বামী এবং শিশুরা সফলভাবে তাশখন্দে চলে গিয়েছিলেন, এবং অভিনেত্রী তার প্রিয়জনদের জন্য শান্ত ছিলেন। তিনি ক্রমাগত হাসপাতালগুলিতে এবং বাসিন্দাদের সামনে, অধিকৃত শহরের সৈন্যরা লেনিনগ্রাডকে তার জন্য একটি বিশেষভাবে নির্ধারিত বিমানে ছেড়ে যেতে অস্বীকার করেছিলেন।
তিনি কেন অবস্থান করছেন জানতে চাইলে আয়নানিনা গর্বের সাথে উত্তর দিয়েছিলেন: "কাউকে অবশ্যই এই শহরটি রক্ষা করতে হবে!" হলটি হেসে উঠল - ক্ষুদ্র অস্য সাহসী একজন সাহসী ডিফেন্ডারের মতো ছিল, তবে এটি তার অভিনয় যা মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং তাদের সেরা আশা করেছিল। অভিনয় ছাড়াও, অভিনেত্রী দুর্ভাগ্যজনক শহরটির সমস্ত বিষয়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন - রাতের শিফট চালিয়েছিলেন, গ্রোসারি সরবরাহ করতে সহায়তা করেছিলেন, মানুষের সাথে চিকিত্সা করেছিলেন।
1942 সালে, তিনি লেনিনগ্রাড ছেড়ে চলে যেতে সক্ষম হন, তবে ট্রেনের বোমা হামলার পরে যায়েমকে অন্তর্ভুক্ত করে, তার স্বামী অভিনেত্রীর মৃত্যুর গুজব শুনেছিলেন এবং আবার বিয়ে করেছিলেন। এটি বেদনাদায়ক আঘাত এবং আয়নানিনার অবরোধের বেঁচে যাওয়াদের জন্য শেষ খড় ছিল। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং মাত্র দু'বছর পরে কাজ এবং নিজের ভবিষ্যতের বিষয়ে আবার ভাবতে সক্ষম হন। তার প্রতিভা এবং পরিচালক ভক্ত মহিলা যত্নবান মানুষ, লিওনিড জ্যানোতকে বাঁচিয়েছেন। তিনি হয়েছিলেন তারকার তৃতীয় স্বামী।
