আমেরিকান অভিনেত্রী হ্যালি স্টেইনফিল্ড ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শৈশব থেকেই, তিনি খুব মেধাবী ছিলেন এবং তার স্কুল বছরগুলিতে তার অভিনয় জীবনের শুরু হয়েছিল। অভিনয়ের পাশাপাশি গানেও জড়িত হ্যালি।
হ্যালি স্টেইনফিল্ড (স্টেইনফিল্ড) একজন ডিজাইনার এবং ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে মেয়েটির আত্মীয়দের মধ্যে এমন লোকও ছিলেন যারা সরাসরি শিল্প ও সৃজনশীলতার সাথে সম্পর্কিত ছিলেন। সুতরাং, উদাহরণস্বরূপ, তার চাচা একজন অভিনেতা এবং দাদা একবার শিশুদের টেলিভিশন অনুষ্ঠানগুলি পরিচালনা করেছিলেন। হ্যালের একটি রোল মডেল ছিলেন ট্রু ও ব্রায়েন নামের এক কাজিন, যিনি একজন মডেল এবং অভিনেত্রী।
হেলি তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান নন। তার বড় ভাই আছে।
ফিল্ম এবং টেলিভিশনের বাইরে হ্যালি স্টেইনফেল্ডের জীবনী
11 ডিসেম্বর, 1996 এ জন্মগ্রহণ করা, হ্যালি সমস্ত উপায়ে একজন প্রতিভাশালী শিশু ছিলেন। তার অভিনয় জীবনের উন্নয়নে মনোনিবেশ করার আগে, মেয়েটি উত্সাহের সাথে খেলাধুলায় অংশ নিয়েছিল। তিনি টেনিস, বাস্কেটবল এবং ঘোড়ায় চড়ার অধ্যয়নরত যান।
হ্যালি যখন স্কুলে যায়, তখন তার একজন শিক্ষক জোরালো পরামর্শ দিয়েছিলেন যে প্রতিভাশালী শিশুদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল সেই সিস্টেমে শিশুটিকে স্থানান্তরিত করার। পিতামাতারা এই বিষয়ে আপত্তি করেননি, ইতিমধ্যে সেই সময়ে তাদের কন্যায় অসংখ্য প্রতিভা স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ফলস্বরূপ, হ্যালি এক সাথে একাধিক বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষিত হয়েছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তাকে হোম স্কুলেটিংয়ে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, এটি 2015 সালে এটি সম্পূর্ণ করে।
শুরুতে নিজেকে অভিনেত্রী হিসাবে চেষ্টা করে হ্যালি স্টেইনফিল্ড তার স্কুল বছরগুলিতে শুরু হয়েছিল। তিনি বিভিন্ন অপেশাদার প্রযোজনায় অংশ নিয়েছিলেন। 8 বছর বয়সে, তার বাবা-মা তাকে অভিনয় ক্লাসে নিয়ে যান, যেখানে মেয়েটি বেশ কয়েক বছর ধরে পড়াশোনা করেছিল।
অভিনয়ের কেরিয়ারের পরবর্তী পদক্ষেপটি ছিল বিজ্ঞাপনে হ্যালির কাজ। একই সময়ে, মেয়েটি বিভিন্ন কাস্টিং এবং স্ক্রিনিংগুলিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে শুরু করেছিল, যা তাকে প্রথম টেলিভিশন সিরিজের ভূমিকা এবং পরে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে খুব গৌণ, যদিও পেতে সহায়তা করেছিল। 10-11 বছর বয়সে, হ্যালি স্টেইনফিল্ডের নিজস্ব এজেন্ট ছিল, যার কারণে তরুণ হেইলির অভিনয় জীবনের দ্রুত বিকাশ ঘটতে শুরু করে। এটি লক্ষণীয় যে ছোটবেলায় হ্যালি চলচ্চিত্র সমালোচক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছ থেকে স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন।
অভিনয় বিকাশ
হ্যালি হাজির প্রথম টেলিভিশন সিরিজটি ছিল "ব্যাক টু ইউ" প্রকল্পটি। এটি 2007 সালে প্রকাশিত হয়েছিল। মেয়েটির একটি ছোট নামহীন ভূমিকা ছিল। তারপরে স্টেইনফেল্ড টানা কয়েক বছর শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন। ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "তিনি একটি ফক্স" ছবিতে তার কাজের জন্য, মেয়েটি একটি প্রতিভাবান ছোট অভিনেত্রী হিসাবে বেশ কয়েকটি পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছিল।
হ্যালি যখন তেরো বছর বয়সী হলেন তখন একটি ফিচার ফিল্মে অভিনয়ের মাধ্যমে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। তিনি আয়রন গ্রিপ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন। এবং তার আগে, একই ২০১০ সালে তিনি টেলিভিশন সিরিজ "সন্স অফ টুকসন" তে অভিনয় করেছিলেন। ২০১০ সালে হ্যালি স্টেইনফিল্ডকে সেরা তরুণ অভিনেত্রীর খেতাব এনেছিল এবং ২০১১ সালে তিনি অস্কার এবং বাফটিএর জন্য মনোনীত হন।
২০১৩ থেকে ২০১৪ সালের সময়কালে, তরুণ অভিনেত্রী প্রযোজক এবং পরিচালকদের কাছ থেকে প্রচুর আকর্ষণীয় অফার পেয়েছিলেন। ফলস্বরূপ, তার ফিল্মোগ্রাফিটি ছয় পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছায়াছবির সাথে সাথে আবার পূরণ করে। সুতরাং, উদাহরণস্বরূপ, হ্যালিকে "রোমিও এবং জুলিয়েট", "কিলারের তিন দিন" এবং "লিভিং রুম" এর মতো ছবিতে দেখা যেতে পারে।
প্রতিভাশালী শিল্পীর জন্য 2015 কে মনোনীত করা হয়েছিল এই সত্য দ্বারা যে তিনি প্রথম কোনও মিউজিক ভিডিওতে উপস্থিত হয়েছেন। "খারাপ রক্ত" গানের জন্য ভিডিওটিতে তিনি টেলর সুইফটের সাথে কাজ করেছিলেন। একই সময়ে, হ্যালি "পারফেক্ট ভয়েস 2" এবং "বিশেষত বিপজ্জনক" চলচ্চিত্রের কাস্টে গৃহীত হয়েছিল।
2016 সালে "অ্যালমোস্ট সেভেনটেন" বাদ্যযন্ত্রটিতে অভিনয় করার পরে এক বছর পরে, হ্যালি স্টেইনফিল্ড মর্যাদাপূর্ণ গোল্ডেন গ্লোব পুরষ্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন।
ইতিমধ্যে বিখ্যাত অভিনেত্রীর জন্য শেষ সুপার-সফল প্রকল্পগুলি ছিল পূর্ণ দৈর্ঘ্যের অ্যানিমেটেড ফিল্মগুলি "স্পাইডার-ম্যান: দ্য ইউনিভার্সগুলির মাধ্যমে" এবং চলচ্চিত্র "বাম্বলবি"। দুটি ছবিই 2018 সালে মুক্তি পেয়েছিল।
2019 সালে, "ডিকিনসন" সিরিজটি প্রকাশ করা উচিত। এই কমেডি প্রকল্পে, হ্যালি একটি শীর্ষস্থানীয় ভূমিকা পেয়েছিলেন।
সংগীত জীবন
হ্যালি স্টেইনফেল্ড "পারফেক্ট ভয়েস 2" ছবির জন্য গানটি রেকর্ড করার পরে, তিনি নিজেকে গায়ক হিসাবে চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
2015 সালে, মেয়েটি তার প্রথম একক প্রকাশ করেছিল, যার নাম "লাভ মাইসেলফ", যা প্ল্যাটিনামে পরিণত হয়েছিল। তারপরে, ২০১ to থেকে 2018 পর্যন্ত আরও চারটি রেকর্ড প্রকাশ করা হয়েছিল, আবার একক আকারে।
হ্যালির একটি মিনি অ্যালবাম হাইজ রয়েছে। অ্যালবামটিতে চারটি ট্র্যাক রয়েছে, তবে এই বাদ্যযন্ত্রটি জনসাধারণ এবং সমালোচকদের মধ্যে খুব বেশি উত্সাহ সৃষ্টি করতে পারেনি।
