পৃথিবীর দ্বিপদীতা সব কিছুতেই প্রকাশিত হয়: দিন রাতের দিকে পথ দেয়, দক্ষিণের বিপরীতে উত্তর আছে, এবং যদি শ্রদ্ধেয় মানুষ থাকে তবে অবশ্যই অপরাধী হবে। এবং এটি জীবনের মূল বক্তব্য।
মানব জাতির ইতিহাসে প্রথম অপরাধ কমিশনের ইতিহাস শৈশবকাল থেকেই অনেকেরই পরিচিত। হাওয়ার উদ্যানে, হবা অভিলাষী ফলটির স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন, যা কঠোর নিষেধাজ্ঞার অধীনে ছিল। এবং কোনও সাপের সাহায্য ছাড়াই তিনি এই আইনটি সম্পাদন করেছিলেন, প্রতিটি সম্ভাব্য উপায়ে তাকে একটি অবৈধ পদক্ষেপে প্ররোচিত করেছিলেন। মনে হবে, নিরীহ ফল খাওয়া কীভাবে অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে? তবে এটি এখানে মূল বিষয় নয়।
অপরাধ মানে সমাজ ও আইনবিরোধী একটি আইন। অন্য কথায়, এটি সাধারণভাবে গৃহীত নিয়ম এবং বিধি থেকে বিচ্যুতি। এবং এটি তৈরি করার জন্য, বাইবেলের আদেশগুলি "হত্যা না করা", "চুরি করবেন না" লঙ্ঘন করার প্রয়োজন নেই, বরং নিজের ইচ্ছাকে অনুসরণ করুন বা একটি বিকল্প হিসাবে কিছু করবেন না। আসলে, এই নীতি দ্বারা, ইভটিকে অপরাধী হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। এবং যদিও যে কারণে জায়েয তা গ্রহণের দ্বার পার হতে প্ররোচিত কারণগুলি খুব আলাদা হতে পারে তবে এগুলি সবশেষে সাতটি তথাকথিত নশ্বর পাপগুলিতে সিদ্ধ হয়: লালসা, পেটুকি, লোভ, হতাশা, ক্রোধ, হিংসা এবং অহঙ্কার।
অপরাধের প্রকৃতি নির্ভর করে তার কমিশনের স্থানের ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য, এই অঞ্চলে জনসংখ্যার জীবনযাত্রার সাধারণ মান এবং নিজে অপরাধীর বিকাশের উপর। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণের মানুষ নিষ্ঠুর, এবং উত্তরাঞ্চলীয়রা আরও পরিশীলিত পদ্ধতি বেছে নিন। দরিদ্রতম রাজ্যের ভূখণ্ডে আফ্রিকার উপত্যকাগুলিতে প্রকৃত বিশৃঙ্খলা রাজত্ব করে: কিছু উপজাতিরা নিজেকে ভাগ্যের সালিশি হিসাবে ঘোষণা করে, তারা কেবল বর্ণগত কারণে পুরো গ্রাম কেটে ফেলার অনুমতি দেয়। সুতরাং হিটলারের মৃত্যুর সাথে নাজিবাদের সমস্যা এবং পৃথিবীর পুনর্নির্মাণ কোথাও অদৃশ্য হয়ে যায়নি, এটি কেবল তার স্থানাঙ্ক পরিবর্তন করেছে।
সমগ্র দেশগুলির বিরুদ্ধে বড় আকারের ক্রিয়াকলাপগুলি যথেষ্ট অনুমানযোগ্য, কারণ একটি নিয়ম হিসাবে তারা ক্ষণিকের উন্মাদনার কারণে ঘটে না - বেশ কয়েক বছর ধরে সামরিক অভিযানগুলি বিকাশ লাভ করেছে। উদ্দেশ্যমূলক এবং এলোমেলো অপরাধ উভয়ই সম্পূর্ণ নির্মূল করা যায় না, তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। তবে রাষ্ট্রব্যাপী স্কেলগুলিতে এগুলি হ্রাস করা যেতে পারে যদি অবশ্যই একটি আদর্শ আইন প্রয়োগকারী ব্যবস্থা তৈরি করা হয়।
