একজন চলচ্চিত্র নির্মাতার যোগ্যতা কীভাবে পরিমাপ করবেন? অস্কার প্রাপ্তির সংখ্যা বা তার শুটিং করা চলচ্চিত্রের লাভজনকতা দিয়ে? রজার ভাদিমের মেধা - সিনেমার আকাশে নতুন উজ্জ্বল নক্ষত্রের সন্ধানে। তদুপরি, ভাদিম বাস্তব বিশ্বের তারকাদের জন্য জীবনের একটি টিকিট দিয়েছেন।
তাঁর জীবন কাহিনীর সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হ'ল এই তারাগুলি পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রী ছিলেন - নাগরিক বা আইনী legal এবং তার "আশীর্বাদ" পরে আসল সেলিব্রিটি হয়ে ওঠেন।
রজার সম্পর্কে বলা হয়েছিল যে তিনি একরকম যাদুবিদ্যার অধিকারী ছিলেন যা মহিলাদের কাছে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। তিনি হেসে জবাব দিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর পরিচিতজনের চেনাশোনাতে এসে পড়া প্রত্যেককেই ভালবাসার এবং বোঝার চেষ্টা করছেন। এবং তিনি তার চলচ্চিত্রগুলিতে সবাইকে শুটিং করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং সত্যিকারের অভিনেত্রী হতে পারে।
তিনি চারবার বিবাহ করেছিলেন, এবং ক্যাথরিন ডেনিউভের সাথে নাগরিক বিবাহে জীবনযাপন করেছিলেন। তবে, তাদের একটি সাধারণ পুত্র, খ্রিস্টান, যিনি তাঁর পিতামাতার উদাহরণ অনুসরণ করে অভিনেতা হয়েছিলেন। খ্রিস্টান ছাড়াও, পরিচালক বিভিন্ন বিবাহ থেকে আরও তিনটি শিশু ছিল।
জীবনী
রজার ভাদিম বংশোদ্ভূত রাশিয়ান, যদিও চেঙ্গিস খানের নামটিও তাঁর বংশপরিচয়টিতে পাওয়া যায়। পারিবারিক ইতিহাস বলে যে মঙ্গোল খান তার ভাগ্নিকে রাশিয়ায় জমি দিয়েছিল, এবং তখন থেকে প্লিম্যানিকোভরা চলে গেছে - এটিই পরিচালকটির আসল নাম।
1917 সালের বিপ্লবের সময়, ভাদিমের বাবা রাশিয়া ছেড়ে ফ্রান্সে স্থায়ী হন। ইগর প্লেমন্যিকোভ একটি ভাল ক্যারিয়ার তৈরি করেছিলেন: তিনি কনসাল হয়েছিলেন এবং প্রায়শই তুরস্ক এবং মিশরে যান। যাইহোক, তিনি প্রথম দিকে মারা যান, এবং পরিবার কোনও রুটিওয়ালা ছাড়াই চলে গেল। পুত্র তার নাম পরিবর্তন করেছে: ভাদিম প্লিম্যানিকোভের পরিবর্তে তিনি ভাদিম রজার হয়েছিলেন।
তিনি ইতিমধ্যে একটি বিখ্যাত পরিচালক হয়ে উঠলে, সাংবাদিকরা তাকে তার জাতীয়তা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি জবাব দিয়েছিলেন যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তিনি একজন প্রকৃত ফরাসী, কিন্তু তার আত্মা এখনও রাশিয়ান ছিল।
তিনি নিজেকে একজন প্রকৃত ফরাসী হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন, কারণ তিনি প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন 1928 সালে। তিনি তার শৈশবটি পর্যায়ক্রমে মিশরে এবং তারপরে তুরস্কে কাটিয়েছেন, যেখানে তার বাবা ব্যবসা শুরু করেছিলেন। ভাদিমের মা একজন অভিনেত্রী ছিলেন, তবে স্বামী, ছেলে ও কন্যা হেলেনের সাথে পূর্বের দেশেও গিয়েছিলেন।
পরিবারের প্রধানের মৃত্যুর পরে, প্লেমন্যিকোভস প্যারিসে ফিরে এসেছিলেন এবং ভাদিম স্টেজ আর্ট অধ্যয়ন করতে চেয়েছিলেন। তিনি একটি অভিনয় শিক্ষা পেয়েছিলেন এবং থিয়েটারে অভিনয় শুরু করেছিলেন, তবে এগুলি ছিল ছোট ভূমিকা। একই সময়ে, তিনি নিজেকে লেখক হিসাবে চেষ্টা করেছিলেন, তবে তাঁর পান্ডুলিপিটি সমালোচিত হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে, তিনি পরিচালক মার্ক অ্যালেগ্রের সাথে পরিচিত হন, যিনি তাকে সহকারী হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন।
ভাদিম তখন খুব সক্রিয় ছিলেন এবং বিভিন্ন ধরণের ক্রিয়াকলাপ চেষ্টা করেছিলেন: তিনি অ্যালিগ্রাকে স্ক্রিপ্টগুলি সম্পাদনা করতে সহায়তা করেছিলেন, সহায়তা করেছিলেন এবং একই সাথে প্যারিস ম্যাচ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছিলেন।
পরিচালক শিল্পের মূল বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পরে, রজার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তিনি নিজেও চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে পারবেন।
তখনই তাঁর পথে একজন নবজাতক অভিনেত্রী ব্রিজিট বারদোটের দেখা হয়। তিনি তার মা-বাবার সাথে ক্রেস্টিং হোমে আললেগ্রায় এসেছিলেন এবং ভাদিম তত্ক্ষণাত তাঁর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন।
তারা 1952 সালে বিবাহিত এবং পাঁচ বছর একসাথে বসবাস। 1956 সালে, তরুণ পরিচালক রজার "এবং Creশ্বর একটি মহিলার তৈরি করেছিলেন" ছবিটি তৈরি করেছিলেন যা তাকে এবং ব্রিগিটকে বিখ্যাত করেছিল। তবে চিত্রগ্রহণের সময়, তাকে খুব মনোরম নয় এমন একটি প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করতে হয়েছিল: তিনি দেখেন তাঁর স্ত্রী এবং অভিনেতা জ্যান-লুই ট্রেনটিগন এর মধ্যে একটি রোম্যান্স শুরু হয়েছিল। এক বছর পরে, ব্রিজিট এবং ভাদিমের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছিল, তবে বন্ধু রয়ে গেল।
তিনি একটি যুগের যৌন প্রতীক হয়ে উঠলেও তাঁর সমস্ত জীবন তিনি ভীতসন্ত্রস্ত শিশু হিসাবে তার যত্ন নেন। এবং তিনি তাকে "পুরাতন রাশিয়ান" নামে ডেকেছিলেন এবং প্রায়শই ডাকতেন - তিনি প্রেমের বিষয়ে পরামর্শ চেয়েছিলেন।
পরিচালকের ক্যারিয়ার
রজারের পরবর্তী বিখ্যাত চলচ্চিত্রটি হ'ল "বিপজ্জনক যোগাযোগ"। ততক্ষণে, ভাদিম ইতিমধ্যে অ্যানেট স্ট্রয়বার্গের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, তাদের একটি কন্যা ছিল এবং তরুণ স্ত্রী অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার সম্পর্কে ভাবেননি। সে ঠিক তার স্বামীর সাথে দেখা করতে সেটে এসেছিল। এবং হঠাৎ তিনি তাকে একটি চরিত্রে দেখেছিলেন এবং সে তা সম্পাদন করতে রাজি হয়েছিল। সবকিছু নিখুঁতভাবে পরিণত হয়েছে, অ্যানেট চিত্রগ্রহণের প্রক্রিয়া পছন্দ করেছেন। তদ্ব্যতীত, ফিল্মটি উচ্চ নম্বর পেয়েছিল এবং এখন তার স্বামীর পরবর্তী ছবিতে স্ট্রোবার্গ সরানো হয়েছে। এবং তারপরে সে একজন সেলিব্রিটির মতো অনুভূত হয়েছিল এবং তার বাবার দেখাশোনায় মেয়ে নাটালিকে রেখে পরিবারের বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
ক্যাথরিন ডেনিউভে, বন্ধুবান্ধবীদের সাথে দেখা করার সময় ভাদিমের বয়স ছিল বত্রিশ বছর। তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বয়সের পার্থক্য ছিল - প্রায় পনের বছর, কিন্তু এটি তাদের থামেনি। ক্যাথরিন নাটালির এক ভাল মা হয়ে ওঠেন এবং পরে ভাদিমের এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়, যার নাম খ্রিস্টান। তিনি "চেরবার্গ ছাতা" ছবিতে অভিনয় করেছিলেন, বিখ্যাত হয়েছিলেন এবং খুব শীঘ্রই রজারকে ছেড়ে চলে যান।
অদ্ভুতভাবে যথেষ্ট, তবে তিনি প্রায় প্রতিটি নতুন ছবির শুটিং করেছেন পরিচালক একজন নতুন প্রেমিকের সাথে পরিচালিত। সুতরাং, এডগার অ্যালান পোয়ের "থ্রি স্টেপস ইন ডিলিরিয়াম" (1968) ছবিতে, তিনি ইতিমধ্যে বিখ্যাত অভিনেত্রী জেন ফোন্ডাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং পরে তাঁর স্ত্রী হয়েছিলেন। ছবিটি খুব ভালভাবে গৃহীত হয়েছিল এবং তারা লিখেছিল যে রজার ছিল "তাঁর নিজের চেতনায়" " যদিও এটি ফেলিনী, রজার এবং মালের একটি যৌথ সৃষ্টি।
